সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন
অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ৪ নভেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, এই আইনটি এক সপ্তাহের মধ্যে বাতিল হয়ে যাবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এই আইন নয়, মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সংস্কারের ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর দেশে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু করেছে; যাতে দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত বছর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। কিন্তু এ আইন নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। এখন আইনটি বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত মামলাগুলো (মুক্তমত প্রকাশের কারণে মামলা) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া এসব মামলায় কেউ গ্রেফতার থাকলে তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন বলেও জানানো হয়।